রন্ধন শিল্প

মিনি টিকিয়া ললিপপ



মিনি টিকিয়া ললিপপ
মিনি টিকিয়া ললিপপ
উপকরণ: মাংসের কিমা আধা কেজি, ছোলার ডাল সিকি কাপ, শুকনা মরিচ ২-৩টা, জিরা ১ চা-চামচ, ধনে ১ চা-চামচ, চিনি আধা চা-চামচ, লবণ ১ চা-চামচ, দারচিনি ২ টুকরা, লবঙ্গ ১টা, আদা কুচি ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ ছোট দুটি, ডিম অর্ধেক।
প্রতুস্ত প্রণালী: পেঁয়াজ, কিমা, ডাল, মরিচ, জিরা, ধনে ২ টেবিল চামচ তেল ও সামান্য পানি দিয়ে সেদ্ধ করুন। পানি শুকালে লবণ ও চিনি দিয়ে দারুচিনি, লবঙ্গ ও আদা বেটে নিন। সেদ্ধ মাংস বেটে নিন।
এবার বাটা মসলা ও ডিম দিয়ে মাংস ভালোভাবে মেখে নিন। ছোট ছোট টিকিয়া বানিয়ে ললিপপের আকার দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।



শাহী বোরহানি




শাহী বোরহানি
শাহী বোরহানি
ঈদ মানেই আনন্দ। আর সেই আনন্দের সাথে ভুঁড়িভোজনটাও তো দেখতে হবে নাকি। বোঝাই যাচ্ছে ঈদের কদিন বিভিন্ন মাংসের আইটেমের চিন্তা করছেন আপনি। কিন্তু এত আইটেমে বিশেষ স্বাদ এনে দিতে পারে বোরহানি। তাছাড়া হজমেও সাহায্য করে এ পানীয়।
উপকরণ :
টক দই ৩ কেজি, মিষ্টি দই ১ কেজি, মালাই দেড় কাপ, আমন্ড বাদাম (কাঠবাদাম) ৪ টেবিল-চামচ, পোস্তদানা বাটা ১ টেবিল-চামচ, সরিষা গুঁড়া ২ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণ মতো, বিট লবণ ১ টেবিল-চামচ, পুদিনাপাতা বাটা ২ টেবিল-চামচ, কাঁচা মরিচবাটা ২ চা-চামচ বা পরিমাণ মতো, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া দেড় চা-চামচ, জিরা (টালাগুঁড়া) দেড় চামচ, ধনে (টালা গুঁড়া) দেড় চামচ, টকদই (টক বুঝে) আন্দাজ মতো, পানি (দইয়ের ঘনত্ব বুঝে) আন্দাজ মতো, বোরহানি বেশি পাতলা হবে না, তেঁতুলের মাড় (বোরহানির টক বুঝে) আন্দাজ মতো।
প্রণালি:
দুই কাপ পানির সাথে সব মসলা মিশিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। পাতলা কাপড় দিয়ে দই ছেঁকে নিতে হবে। তারপর সব উপকরণ একসাথে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন শাহী বোরহানি।


ক্ষীরকদম




ক্ষীরকদম
ক্ষীরকদম


উপকরণ : দুধ ১ লিটার, খোয়া ক্ষীর ৫০০ গ্রাম, চিনি ২ কাপ, গুঁড়ো চিনি আন্দাজ মতো, গুঁড়ো দুধ আন্দাজ মতো, লালা ফুড কালার সামান্য, ভিনিগার ২ টেবল-চামচ।

রসগোল্লা বানানোর প্রণালি: দুধ গরম করে ফুটে উঠলে তাতে এক থেকে দু’ টেবিল-চামচ ভিনিগার দিন দুধ কাটিয়ে ছানা তৈরি করে নিন। এবার ওই ছানা একটা মসলিন অথবা সুতির কাপড়ে ঢেলে জলে ধুয়ে নিতে হবে যাতে ভিনিগারের গন্ধ আর টক ভাব না থাকে।
এর পর পাতলা কাপড়ে বেঁধে টাঙ্গিয়ে রাখুন যাতে ছানা থেকে ভালো করে জল ঝরে যায়। এ বার আধা-চামচ ফুড কালার মিশিয়ে ছানা মসৃণ করে মাখতে হবে। মাখা ছানা দিয়ে এবার ছোট ছোট বল বানিয়ে নিন।
একটা পাত্রে এক কাপ চিনি আর তিন কাপ জল দিয়ে পাতলা করে চিনির রস বানিয়ে নিন। ছানার বলগুলো ফুটন্ত রসে ছেড়ে মাঝারি তাপমাত্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট  ঢেকে রাখুন।  ব্যস রসগোল্লা তৈরি হয়ে যাবে।
ক্ষীরকদম বানানোর প্রণালি: রসগোল্লা তুলে নিয়ে ওই রসে এক কাপ চিনি দিয়ে ফুটিয়ে রসটা ঘন করে নিন। রসগোল্লাগুলোকে রসে পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে। আধা ঘণ্টা ঢাকনা দিয়ে রেখে দিন। রস থেকে তুলে একটা প্লেটে কিছু ক্ষণ রসগোল্লাগুলো রাখতে হবে যাতে বাড়তি রস ঝরে যায়।
মাওয়া অথবা খোয়াতে ২ থেকে ৩ টেবিল-চামচ গুঁড়ো চিনি মিশিয়ে মসৃণ করে মেখে নিন।এবার প্রতিটা রসগোল্লা মাওয়া খোয়া মাখিয়ে গোল করে নিতে হবে। এরপর গুঁড়ো দুধ মাখিয়ে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রাখুন, এরপরপরিবেশন করুন।

গরুর মাংস দোপেঁয়াছা



গরুর মাংস দোপেঁয়াছা
গরুর মাংস দোপেঁয়াছা
উপকরণ: গরুর গোশত , ১ কেজি, পেঁয়াজ মোটা মোটা কাটা , ২৫০ গ্রাম, কাঁচামরিচ বড় টুকরো , ১০/১২টি, আদা বাটা , ১ টেবিল চামচ, ধনে গুঁড়া, ১ চা চামচ, এলাচ, ২ টুকরো, দারুচিনি, ২ টুকরো, তেজপাতা , ২টা, লং , ৪টা, গোলমরিচ , ৫/৭টি, ভিনেগার , ৩ টেবিল চামচ, তেল , আধা কাপ, লবণ , আন্দাজমেতা, টেস্টিং সল্ট , ১ চা চামচ।

প্রস্তুত প্রণালী: গোশত ছোট ছোট করে কেটে ধুয়ে তেল, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ছাড়া সব উপকরণ দিয়ে সামান্য তেলে মেখে ১ ঘন্টা রেখে দিন। হাঁড়িতে তেল গরম করে গোশত মাখাটা ঢেলে একটু কমিয়ে অল্প পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ হলে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ দিয়ে কষিয়ে পেঁয়াজটা নরম হয়ে উঠলে, মাখা মাখা হলে নামিয়ে আনুন।

আলুর শাহী লাড্ডু



আলুর শাহী লাড্ডু
আলুর শাহী লাড্ডু
উপকরণ
গ্রেট করা আলু ৪ কাপ, গুঁড়া দুধ ১ কাপ, চিনি ২ কাপ, মাওয়া গুঁড়া ৩ টেবিল চামচ, কিশমিশ ২ টেবিল চামচ, পেস্তা কুচি ২ টেবিল চামচ, কাচুবাদাম কুচি ২ টেবিল চামচ,কেওড়া ১ টেবিল চামচ,এলাচ ৩টা,দারুচিনি ৩ টুকরা,অরেঞ্জ ফুড কালার সিকি চা চামচ, ঘি আধা কাপ ও তবক পরিমাণমতো।
প্রণালি
আলু ফুটন্ত পানিতে ভাপ দিয়ে নিন ৫-৬ মিনিট। এবার ছেঁকে নিন। কড়াইতে ঘি গরম হলে এলাচ ও দারুচিনি দিন। আলু দিয়ে ভুনে চিনি দিন। গুঁড়া দুধ দিন। বাদামকুচি, মাওয়া ও কেওড়া দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। ফুড কালার দিন। পরে নামিয়ে ডিশে ঢালুন। আলু ঠাণ্ডা হলে হাতে ঘি মেখে গোল গোল করে লাড্ডু আকারে করে পেস্তা কুচি ও তবক দিয়ে সাজিয়ে নিন।

নারীর জন্য স্বাস্থ্যকর আটটি খাবার



নারীর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারনারীর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারনারী ও পুরুষের  শারিরীক গঠন আলাদা। তাই শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন হয়ে থাকে। খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞানীরা নারীদের শরীরের উপযোগি আট ধরনের খাবারের কথা বলেছেন।  যে খাবার গুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় খাওয়া উচিত। আসুন জেনে নেই আট ধরনের খাবার যেগুলো একজন নারীর অবশ্যই খাওয়া উচিত।

শস্যদানা
বেশির ভাগ শস্যদানাই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শস্যদানা ওমেগা থ্রির একটি ভালো উৎস। মহিলাদেরও হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে। ওমেগা থ্রি হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে বাঁচায়। সেই সঙ্গে ব্রেস্ট ক্যান্সারেরও ঝুঁকিও কমায়। শুধু তাই নয় শস্য দানাতে আছে এন্টি ইনফ্লামেটরি। যা কিনা আর্থাইটিস হওয়ার ঝুঁকি দূর করে।

রুই মাছ
মহিলারা প্রায়ই রক্তশূন্যতায় ভোগেন। দেখা দেয় আয়রনের অভাব। তাই প্রতিদিন রুই জাতীয় মাছ খেলে আয়রনের ঘাটতি পূরন হয়।রুই মাছ ওমেগা থ্রিরও ভালো উৎস।

ক্যানবেরি
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, বেরি জাতীয় ফল খেলে ব্রেস্ট ক্যান্সার এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। মূত্রাশয়ের প্রদাহ ও ইনফেকশনের হাত থেকে বাঁচতে চাইলে প্রতিদিন পান করুন এক গ্লাস ক্যানবেরির জুস।

পালং শাক
পালং শাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, মিনারেল ও উচ্চপর্যায়ের ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে।ম্যাগনেশিয়াম নারীদের মাসিকের সময় রক্তক্ষরণ ও স্তনের ব্যাথা থেকে মুক্ত রাখে। নিয়মিত পালং শাক খেলে শরীরের ওজন বাড়ে।

বাদাম
বাদামে আছে ওমেগা থ্রি, ফ্যাটি এসিড ও এন্টি অক্সিডেন্ট। যা কিনা ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। ওমেগা থ্রি হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। বাদাম খেলে মন মেজাজ চাঙ্গা থাকে। বাদামে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম ও ফলিক এসিড রয়েছে।যা কিনা স্বাস্থ্যের জন্য খুবেই উপকারী।

যব
যবে আছে সু্স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য যব খুবই গুরুত্বপূর্ন খাদ্য উপাদান। যবে আছে বিটামিন বি৬, ফলিক এসিড। যা কিনা নারীদের বন্ধাত্বের হাত খেকে বাঁচায়।

দুধ
বিশ্বব্যাপী মহিলারা ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে ভোগেন। যেকোন বয়সী নারীদের জন্য দুধ একটি আদর্শ খাবার। দুধে আছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি। নিয়মিত দুধ খেলে হাড়েরর ক্ষয়রোধ হয়।

টমেটো
গবেষণায় দেখা গেছে টমেটোতে লাইকোপেন নামের একটি উপাদান রয়েছে। যা কিনা ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে বাঁচায়। নিয়মিত টমেটো খেলে হৃদরোগও দূরে থাকে।


মুরগির মুলতানি কোরমা



মুরগির মুলতানি কোরমা
মুরগির মুলতানি কোরমা
  উপকরণ: দেশি মুরগি ২টি, পোস্তদানা বাটা ১ চা-চামচ, আদা বাটা ২ টেবিল-চামচ, ঘি ১ কাপ, হলুদ আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, নারকেলের ঘন দুধ ৪ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, রসুন বাটা ১ টেবিল-চামচ, চিনি ১ চা-চামচ, ছোট এলাচ ৪টি, দারচিনি ৪ টুকরা, তেজপাতা ২টি, তেঁতুলের মাড় ১ টেবিল-চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি: হাঁড়িতে ঘি দিয়ে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে তাতে আদা, রসুন, হলুদ, গরম মসলা ও লবণ দিয়ে কষিয়ে মুরগি দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। মুরগি কষানো হলে তাতে আধা কাপ নারকেলের দুধ একটু রেখে বাকিটা ঢেলে দিয়ে চিনি দিতে হবে।
পোস্তদানা বাটা আধা কাপ নারকেলের দুধে দিয়ে তার সঙ্গে মিশিয়ে ছেঁকে মুরগির ঝোলের সঙ্গে মিশিয়ে তেঁতুলের মাড় মিশিয়ে কিছুক্ষণ পর নামাতে হবে।



পাঁচ রকমের কাবাব



পাঁচ রকমের কাবাব
পাঁচ রকমের কাবাব
 ঈদ মানেই খাবারের বিশাল আয়োজন। ঈদে প্রত্যেকের ঘরেই থাকে গরু ও খাসির মাংস। আর এই মাংস দিয়ে গৃহিনীরা তৈরি করে থাকেন নানা পদের খাবার। তবে কোরবানীর ঈদে অন্যান্য রেসিপির সঙ্গে কাবাব না হলে যেন জমে ওঠে না। ঈদ আয়োজনে রইলো পাঁচ ধরনের কাবাব তৈরির রেসিপি: কিমা কাবাব
উপকরণ: সেদ্ধ করা গরুর মাংসের কিমা ২ কাপ, সবজি কুচি সেদ্ধ করা (গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মাশরুম) ১ কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতা কুচি ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ২টি, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা চামচ, ডিম ফেটানো ২টি, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, টোস্ট বিস্কুটের গুঁড়া ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো এবং ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো।
প্রস্তুত প্রণালী: প্রথমে বিস্কুটের গুঁড়া ও তেল ছাড়া বাকি সব উপকরণগুলো ভালো করে মেখে নিন। এরপর মিশ্রণটি থেকে ছোট ছোট বড়া বা বলের মতো বানিয়ে তা প্রথমে ডিমে ডুবিয়ে নিন এবং পরে বিস্কুটের গুঁড়া মেখে ডুবো তেলে ভালো করে ভেজে তুলে ফেলুন। এবার সসের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার কিমা কাবাব।
হীরা কাবাব
উপকরণ: সেদ্ধ করা কলিজা ৫০০ গ্রাম, আলু সেদ্ধ (মাঝারি) ২টি, গাজর সেদ্ধ ২টি, মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, (দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, গোলমরিচ, জয়ত্রী পরিমাণমতো নিয়ে ভেজে গুঁড়া করে নিতে হবে), ডিম ১টি, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদ মতো, তেল পরিমাণমতো, সাসলিকের কাঠি ৭ থেকে ৮টি।
প্রস্তুত প্রণালী: কলিজা, আলু ও গাজর চারকোনা করে টুকরো করে নিতে হবে। তেল ও টমেটো সস ছাড়া বাকি সব উপকরণ দিয়ে মেখে ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে সাসলিকের কাঠিতে পরপর কলিজা আলু ও গাজর গেঁথে গরম তেলে ভেজে বাকি মসলা কষে টমেটো সসে মেখে হীরা কাবাব পরিবেশন করুন।
মগজের কাবাব
উপকরণ: সেদ্ধ মগজ ১ কাপ, সেদ্ধ আলু ২টি, সেদ্ধ কাঁচা কলা ১টি, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, কাবাব মসলা আধা চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, মরিচ কুচি ২টি, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, ডিম ১টি, বিস্কুটের গুঁড়া ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো ও তেল পরিমাণমতো।
প্রস্তুত প্রণালী: তেল, ডিম ও বিস্কুটের গুঁড়া ছাড়া বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। মিশ্রণ থেকে নিয়ে কাবাব আকারে গড়ে ডিমে ডুবিয়ে বিস্কুট গুঁড়ো মেখে ৩০ মিনিট ফ্রিজে রাখুন। ৩০ মিনিট পর ফ্রিজ থেকে কাবাবগুলো বের করে ডুবো তেলে সোনালি রং করে ভেজে তুলুন।
শিক কাবাব
উপকরণ: গরুর হাড়ছাড়া মাংস ৫০০ গ্রাম, পাতলা ফিতার মতো করে কেটে নিতে হবে। আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ চামচ, পেপে বাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, পোস্তদানা বাটা ২ টেবিল চামচ, বাদাম বাটা ২ চা চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, সরিষার তেল পরিমাণমতো, গুঁড়া মরিচ ১ টেবিল চামচ, গরম মসলা বাটা ২ টেবিল চামচ ও টক দই ২০০ গ্রাম।
প্রস্তুত প্রণালী: প্রথমে গরুর মাংস ভালোকরে ধুয়ে পানি ছেঁকে নিয়ে পাতলা করে কেটে তাতে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা, লবণ, টক দই এবং সরিষার তেল মাখিয়ে ১ দিন ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর মাংসগুলো শিকে গেঁথে কয়লার চুলায় নিজের পছন্দ অনুযায়ী সেঁকে নিয়ে সার্ভিং ডিশে সাজিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম শিক কাবাব।

গরুর হাঁড়ি কাবাব
উপকরণ: গরুর মাংস ১কেজি (হাড়সহ বড় বড় টুকরা করা), পেঁয়াজ বাটা ১ কাপ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ চা চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, গরম মসলা বাটা ১ টেবিল চামচ, মরিচ বাটা ১ টেবিল চামচ, সরিষার তেল পরিমাণমতো, টক দই ২০০ গ্রাম ও পানি প্রয়োজন অনুযায়ী।

প্রস্তুত প্রণালী: গরুর মাংস ভালো করে ধুয়ে মাংসের দিকটা অল্প ছেঁচে নিয়ে তাতে সব বাটা মসলা ও গুঁড়া মসলা, স্বাদ অনুযায়ী লবণ এবং সরিষার তেল মাখিয়ে ২ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। এরপর একটি পাতিলে পরিমাণমতো সরিষার তেল গরম করে তাতে আগে থেকে মাখিয়ে রাখা মাংস বিছিয়ে দিয়ে প্রথমে চুলার জ্বাল বাড়িয়ে, তারপর অল্প আঁচে রান্না করলেই হয়ে যাবে গরুর হাঁড়ি কাবাব।


মোরগ পোলাও



মোরগ পোলাও
মোরগ পোলাও
উপকরণ: হাড়সহ মোরগের মাংস ২ কেজি, গরম ও তরল দুধ ২ কাপ, আদাবাটা ১ টেবিল-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচবাটা ১ টেবিল-চামচ, কাঁচা মরিচ (আস্ত) ৫-৬টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ১ কাপ, টক দই ৪ টেবিল-চামচ।

মসলা ও মোরগের স্টক: পানি দেড় লিটার, মোরগের হাড় ৪-৫ টুকরা, শাহি জিরা আধা চা-চামচ, এলাচ (থেঁতো করা) ৪টি, লবঙ্গ ১০-১২টি, গোল মরিচ ১২-১৪টি, তেজপাতা ২টি, দারচিনি ৪ টুকরা। সব উপকরণ জ্বাল দিয়ে পানি দেড় লিটার থেকে ১ লিটার করে ছেঁকে নিতে হবে।

পোলাও: পোলাওয়ের চাল ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, গুঁড়ো দুধ ১ কাপ, কিশমিশ ও বাদামের কুচি ১ টেবিল-চামচ, আলুবোখারা ৭-৮টি, ঘি ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, মাওয়া (গুঁড়া করা) আধা কাপ।
প্রস্তুত প্রণালি: মাংস ধুয়ে দই ও বাটা মসলা মাখিয়ে ১ ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখতে হবে। সসপ্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজের কুচি একটু ভেজে মাখানো মাংস দিয়ে ভালো করে কষিয়ে সেদ্ধ করতে হবে এবং অন্য একটি পাত্রে তুলে রাখতে হবে।
চাল ধুয়ে পানি ঝরাতে হবে। মাংস রান্না করার সসপ্যানে মুরগির স্টক দিয়ে তাতে গুঁড়ো দুধ, গরম মসলা ও চাল দিয়ে নাড়তে হবে, যেন সব দিকের চাল সমান তাপ পায়। চাল ফুটে উঠলে কিশমিশ, বাদাম কুচি, আলুবোখারা, লবণ, পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে ঢেকে দমে রাখতে হবে।
১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে রান্না করা মাংস সাজিয়ে নিচ থেকে কিছু পোলাও ও মাওয়া দিয়ে ঢেকে আরও ১৫ মিনিট দমে রাখতে হবে। সবশেষে সার্ভিং ডিশে সাজিয়ে পরিবেশন করা যায় মজাদার মোরগ পোলাও।


চ্যাপা শুঁটকির কয়েক পদ



চ্যাপা শুঁটকির কয়েক পদ
চ্যাপা শুঁটকির কয়েক পদ
 ঘরে কি বাইরে সব জায়গায় ভর্তার কদর রয়েছে। নানারকম খাবারের পাশে শুঁটকির ভর্তা রেখে দিলে তার দিকে সবারেই একবার চোখ পড়ে। অনেকে আবার পোলাও-মাংসের চেয়ে শুঁটকি ভর্তাই বেশি পছন্দ করেন। 
চ্যাপা শুঁটকির ভর্তা
উপকরণ: চ্যাপা শুঁটকি ৫ থেকে ৬টি, পিঁয়াজ কুচি ১ কাপ, রসুন কুচি মাঝারো সাইজের ১টি, কাঁচা মরিচ ১০টি অথবা ঝাল কী কতটুকু খাবেন সে অনুযায়ী, লবণ ও সরিষার তেল পরিমাণ মতো।

প্রস্তুত প্রণালী: প্রথমে শুঁটকি একটু গরমপানিতে ডুবিয়ে নিন, এরপর ঠাণ্ডা পানিতে ভালোমতো ধুয়ে নিন। এরপর কড়াইতে অল্প তেল দিয়ে পিঁয়াজ, রসুন, কাঁচামরিচ ও পরিমাণমতো লবণ দিয়ে টেলে নিন। এবার পিঁয়াজ রসুন একটু লাল হয়ে এল তাতে শুঁটকি ছেড়ে দিয়ে ভেজে নিন।

এবার মিশ্রণটি চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে হাতে চটকে অথবা শীল পাটায় বেঁটে নিলেই হয়ে যাবে আপনার পছন্দের শুঁটকি ভর্তা। 

চ্যাপা শুঁটকি ভুনা
উপকরণ: শুঁটকি ৫ থেকে ৬টি, পিঁয়াজ কুচি এক কাপ, আদা-রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদ হাফ চা চামচ, মরিচ গুড়া ১ চা চামচ, ধনিয়া গুড়া হাফ চা মাচমের কম (এটি না দিলেও চলবে), ধনেপাতা কুচি, লবণ পরিমাণ মতো, তেল (সরিষা অথবা সয়াবিন)।

প্রস্তুত প্রণালী: প্রথমে শুঁটকি ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে তাতে পরিমাণ মতো তেল দিন। তেল গরম হয়ে এলে তাতে পিঁয়াজ কুচি ছেড়ে সামান্য লাল করে ভেজে নিন। এবার পিঁয়াজের মধ্যে আদা রসুন বাটা, ধনিয়া গুড়া, লবণ ও সামান্য পানি দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। মশলা কষানো হয়ে গেলে তাতে শুঁটকি দিন। শুঁটি হাল্কা পানি দিয়ে ভালো করে কষিয়ে এবার ১ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিন। মাঝে একবার ঢাকনা তুলে একটু নেড়ে দিন। পানি শুকিয়ে মাখামাখা হয়ে গেলে চুলা থেকে নামানোর একটু আগে ধনেপাতা কুচি দিন। হয়ে গেলো শুঁটকির ভুনা।

শুঁটকির তরকারি
উপকরণ: শুঁটকি ৩ থেকে ৪ টি, তরকারি জন্য আপনি বেছে নিতে পারেন মুলা, বেগুন, আলু, টমেটো,পটলকে; আদা রসুন বাটা, সয়াবিন তেল, লবণ, পিঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা কুচি।

প্রস্তুত প্রণালী: প্রথমে সবজিগুলো ছোট ছোট করে কেটে ধুয়ে নিন। এবার শুঁটকি ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার একটি কড়াই অথবা পাতিল চুলায় বসিয়ে তাতে তেল দিন। তেল গরম হয়ে এলে তাতে পিঁয়াজ ভেজে নিন। এরপর ভাজা পিঁয়াজে আদা-রসুন বাটা, হলুদ মরিচ গুড়া ও লবণ দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। এবার তাতে শুঁটকি দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে কষিয়ে নিন। মশলাসহ শুঁটকি কষানো হয়ে গেলে তাতে সবজি ছেড়ে দিন। অল্প পানিতে প্রথমে সবজিগুলো কষিয়ে নিন। এরপর সবজি সেদ্ধ হওয়ার জন্য ২/৩ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিন। ঝাল বেশি খেতে চাইলে কয়েকটা কাচামরিচ ফালি করে দিতে পারেন। সব শেষে ঝাল ও লবণ ঠিক আছে কি না এবং সবজিগুলো ভালোভাবে সেদ্ধ হয়েছে কিনা একবার দেখে নিন। সবজি সেদ্ধ না হলে আরেকবার একটু পানি দিয়ে ঢেকে দিতে পারেন। নামানোর আগে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিন তরকারি আরেকটু চুলায় রেখে নামিয়ে নিন।


সবজি সমুচা



সমুচা
সমুচা
 উপকরণ: পালং শাক কুঁচি ২৫০ গ্রাম, টমেটো কুঁচি ১টি, বাদাম ১০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুঁচি ২০ গ্রাম, রসুন বাটা ৫ গ্রাম, জিরা গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়া স্বাদ মতো।
সমুচার ডো

ময়দা ২৫০ গ্রাম, লবণ, ইস্ট আধা চা চামচ। ভাজার জন্য তেল।

পদ্ধতি

ডো তৈরি: একটি বড় বাটি ময়দা, চা চামচ লবণ, ইস্ট এবং গরম পানি দিয়ে খামির তৈরি করে ঢেকে রাখুন। এবার সমুচার পুর তৈরি করে নিন।

একটি পাত্রে সামান্য তেল গরম করে প্রথমে পেঁয়াজ দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে, রসুন, শাক, টমেটো কুঁচি, বাদাম, জিরা গুঁড়া, লবণ ও গোলমরিচ দিয়ে শাক রান্না করুন। খেয়াল রাখবেন শাকে যেন পানি না থাকে।

এবার ডো থেকে ছোট ছোট রুটি তৈরি করে মাঝ থেকে কেটে রুটির ভেতরে পুর দিয়ে পছন্দের আকারে সমুচা তৈরি করে নিন।

সবশেষে ডুবু তেলে সমুচাগুলো বাদামী করে ভেজে পছন্দের সালাদ আর সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

ইলিশ কাসুন্দি



ইলিশ কাসুন্দি
ইলিশ কাসুন্দি
 ইলিশ মাছ ৬ টুকরা, কাসুন্দি ৩ টেবিল চামচ, পোস্তদানা বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, কাঁচামরিচ ৫-৬টা।প্রণালী: সব উপকরণ দিয়ে মাছ মাখিয়ে ১ ঘন্টা রাখতে হবে। দেড় কাপ পানি দিয়ে চুলাতে দিতে হবে। ঝোল কমে তেলের উপর আসলে নামাতে হবে।



মজাদার রসগোল্লা



রসগোল্লা
রসগোল্ল
উপকরণ: চিনি ১ কাপ, চিনি ১ চা চামচ, দুধ ১ লিটার, এলাচ, গুঁড়া ১/৪ চা চামচ, ময়দা/সুজি ১ চা চামচ, গোলাপজল ১ চা চামচ।
প্রস্তুত প্রণালী: দুধের ছানা করে ছাকনিতে বাতাসের মধ্যে ৬-৭ ঘন্টা ছড়িয়ে রাখুন। এক কাপ চিনির সাথে ৩ কাপ পানি দিয়ে চুলায় দিয়ে ময়লা তুলে ফেলুন। চুলার আঁচ কমিয়ে রাখুন। ছানা হাতের তালু দিয়ে মথে নিন। ময়দা বা সুজি ১ চা চামচ চিনি ও এলাচগুঁড়া দিয়ে ছানা মথতে হবে।
ছানা ১৬-২০ ভাগ করে গোল করে রাখুন। সব ছানার গুলি একবারে উনুনের উপরে সিরায় ছাড়। আঁচ বাড়িয়ে দিন। কিছুক্ষণ পরে রসগোল্লা সিরার উপর ভেসে উঠবে। বড় চামচ বা হাতা দিয়ে রসগোল্লা সিরায় ডুবিয়ে হাঁড়ি ঢেকে দিবেন।
২০-২৫ মিনিট পরে বাটিতে পানি নিয়ে একটি রসগোল্লা ছাড়। পানিতে রসগোল্লা ডুবে গেলে এবং আকার ঠিক থাকলে চুলা থেকে নামিয়ে রাখুন। সিরাসহ রসগোল্লা একটি বড় গামলায় ঢালুন। ১ চা চামচ গোলাপ জল দিন। ৭-৮ ঘন্টা পরে রসগোল্লা পরিবেশন করুন।


নারিকেল চিংড়ি মালাইকারি



নারিকেল চিংড়ি মালাইকারি
নারিকেল চিংড়ি মালাইকারি
 উপরকণ : বড় সাইজের চিংড়ি আধা কেজি, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, মিহি বাটা নারিকেল ১ কাপ, গরম মসলা আধা চা চামচ, তেজপাতা ২টি, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ২ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, তেল পরিমাণমতো, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি-চিংড়ির মাথা, লেজ ও খোসা ফেলে টুকরো করে কেটে ধুয়ে নিন। তেল গরম করে মাছের টুকরোগুলো সামান্য ভেজে নিন।
এবার অন্য একটি প্যানে তেল গরম করে আদা, রসুন, পেঁয়াজ বাটা ও তেজপাতা দিয়ে লাল করে ভেজে নিন।
নারিকেল বাটা ও বাকি মসলা দিয়ে কষিয়ে মাছ দিন। কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে সামান্য পানি দিয়ে রান্না করুন।
পানি শুকালে গরম মসলা দিয়ে আঁচ কমিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে ২ মিনিট পর নামিয়ে নিন। এবার ইচ্ছামতো ডেকোরেশন করে খাবার টেবিলে পরিবেশন করুন।


হট অ্যান্ড স্পাইসি পাস্তা

 



হট অ্যান্ড স্পাইসি পাস্তা
হট অ্যান্ড স্পাইসি পাস্তা
পাস্তা ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আমাদের দেশে। ছেলে বুড়ো সকলেই আগ্রহী এই ইটালিয়ান খাবারটির প্রতি। আর হবেন নাই বা কেন।পৃথিবীতে পাস্তা আছে যেমন হরেক প্রকৃতির, তেমনি পাস্তার রেসিপিতেও আছে শত শত শত পর্যন্ত। নিজ হাতে রান্না করুন রেস্তোরাঁর স্বাদের খাবার। উপভোগ করুন বাড়ির সবাইকে নিয়ে। আসুন জেনে নেয়া যাক ঘরেই চটপটে পাস্তা তৈরির একটি সহজ রেসিপি।
উপকরণ:
শুকনো প্যাকেটজাত পাস্তা- ২ ১/২ কাপ, মুরগীর মাংস সিদ্ধ- ১/২ কাপ (আদা রসুন দিয়ে সিদ্ধ করে নিবেন), ছোট চিংড়ি সিদ্ধ- ১/২ কাপ (হাল্কা সিদ্ধ করা), সবজি কুচি- ১/২ কাপ (সবজির ক্ষেত্রে বীজ ফেলা টমেটো- শসা- ক্যাপ্সিকাম, গাজর, বেবি কর্ণ, মাশরুম, কচি পালং শাক ইত্যাদি নেয়া যাবে), টমেটো সস- ৫ টেবিল চামচ, চিলি সস- ৫ টেবিল চামচ, পেপ্রিকা পাউডার- ১ চা চামচ (সাধারণ মরিচ গুঁড়া দিয়েও কাজ চলবে), সাদা গোল মরিচ গুঁড়া- ১ চা চামচ, সয়াসস- ৩ টেবিল চামচ, চিজ ঝুরি- ১/২ কাপ (ইচ্ছা হলেই কমবেশি যায়। পছন্দ মত যে কোনও চিজ নিতে পারেন), ধনেপাতা বা পার্সলে পাতা কুচি- ইচ্ছামত, পেয়াজ- ইচ্ছামত, সরিষা পেস্ট- ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক), অলিভ ওয়েল- ৩/৪ টেবিল চামচ। (সাধারণ সয়াবিন তেল হলে ২ টেবিল চামচ)
প্রণালী:
ফুটন্ত গরম পানির মাঝে পরিমাণ মত গরম পানি দিয়ে দিন। এবং তার মাঝে পাস্তা দিয়ে সিদ্ধ করুন। প্যাকেটের গায়ে যে সময় লেখা থাকবে, তার চাইতে ২ মিনিট আগেই পাস্তার পানি ঝরিয়ে নিন। কেননা আবার রান্না করা হবে এবং বেশী সিদ্ধ পাস্তার চাইতে খারাপ খাবার পৃথিবীতে হতে পারে না। পানি ঝরিয়ে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালো করে পাস্তা ধুয়ে নিন। যাতে পুরোপুরি ঠাণ্ডা হয়ে যায়।
প্যানে তেল দিয়ে পেয়াজ ও সবজি গুলো দিয়ে দিন এবং হাল্কা ভাজুন। মাশরুম, বেবি কর্ণ ইত্যাদি দিতে চাইলে একটু আগে দিন। ভাজা হলে তারপর বাকি সবজি দিন। সবজি একটু ভাজা হলেই মাংস ও চিংড়ি দিয়ে দিন। হাল্কা লবণ দিয়ে ভাজুন। একটি বাটিতে আগেই সসগুলো সব একত্রে মাখিয়ে রাখুন, সাথে দিয়ে রাখুন সরিষা বাটা ও মরিচের গুঁড়া গুলোও।
সবজি, মুরগী ও চিংড়ি ভাজা হলে পাস্তা গুলো প্যানে দিয়ে দিন। পাস্তার ওপরে সস ঢেলে দিন এবং ভালো করে মেশান। আঁচ বেশী কমাবেন না। সস গুলো পাস্তার সাথে ভালভাবে মিশে গেলে চিজ ঝুরি ছিটিয়ে দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন। ভালো করে নাড়ুন। পাস্তার উত্তাপে চিচ এমনিতেই গলে মিশে যাবে। এবং ধনেপাতা ছিটিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম।
পাস্তা তৈরি হয় ময়দা ও ডিম দিয়ে। সুতরাং কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন ২টাই থাকছে। এছাড়াও বাড়তি প্রোটিন হিশাবে মুরগী ও চিংড়ি যোগ করা হচ্ছে, দেয়া হচ্ছে প্রচুর সবজি। সুতরাং অভাব হবে না ভিটামিন ও মিনারেলের। অল্প তেলে রান্না বলে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য- ও ভালো অনেক দিক থেকেই। আর বাচ্চাদের জন্য ভীষণ পুষ্টিকর ও সম্পূর্ণ একটি ডিস।


চিংড়ি মাছের পুঁই



ফাইল ফটো
ফাইল ফটো
উপকরণ:  চিংড়ি মাছ কুঁচি-১.৫ কাপ, পুঁই পাতা-১০ টি, পেঁয়াজ কুঁচি-১ কাপ, কাঁচা মরিচ কুঁচি-২ টি, গোল মরিচ-১/৪  চা চামচ ধনিয়া গুঁড়া -১/২ চা চামচ, আদা রসুন বাটা-১ চা চামচ, ময়দা-১.৫ কাপ, টুথপিক-১০ টি, লাল মরিচ গুঁড়া-সামান্য,পানি ও লবন পরিমাণমত, চাট মসলা-সামান্য, তেল ২ কাপ।
প্রস্তুত প্রণালী:  প্রথমে একটি পাত্রে চিংড়ি মাছ, পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচামরিচ কুঁচি, ধনিয়ার গুঁড়া, গোল মরিচ গুঁড়া, অর্ধেক আদা রসুন বাটা ও লবন দিয়ে ভালো ভাবে মেখে নিতে হবে।
টুথপিক গুলো মাঝখান দিয়ে ভেঙ্গে নিতে হবে। তারপর একটা পুঁই পাতা নিয়ে তার মাঝখানে মিশ্রনটির কিছু অংশ নিয়ে রাখতে হবে। এরপর পাতাটি ভাজ করে অর্ধেক করা দুইটি টুটপিক দিয়ে গেঁথে দিতে হবে।
এভাবে সবগুলো পাতার মধ্যে চিংড়ির মিশ্রণ দিয়ে গেঁথে নিতে হবে। এখন আরেকটি পাত্রের মধ্যে ময়দা নিয়ে এতে লবন, লাল মরিচের গুঁড়া, বাকি আদা রসুন বাটা আর পরিমান মত পানি দিয়ে ব্যাটার বানাতে হবে। এরপর চুলায় একটি কড়াই গরম করে তাতে তেল গরম করতে হবে।
এখন পুর ভরা পাতা গুলো ব্যাটারে চুবিয়ে ডুবো তেলে ভাঁজতে হবে। ভাঁজা হলে এর ওপর সামান্য চাট মাসালা ছিটিয়ে গরম গরম ইফতারে পরিবেশন করতে হবে।


আলু পরোটা



আলু পরোটা
আলু পরোটা
প্রতিদিন সকালে একই ধরনের নাস্তা খেতে একঘেয়েমি লাগে। তাই মাঝে মাঝে যদি নাস্তায় একটু পরিবর্তন আনা যায় তবে মন্দ হয় না।
অনেকেই নাস্তায় পরোটা খেয়ে থাকেন। ইচ্ছে করলেই এই পরোটাতে একটু আলু যোগ করে বানাতে পারেন সুস্বাদু আলুপরোটা।

উপকরণ:
আলু সিদ্ধ ২ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, তেল ৩ টেবিল চামচ, আদা বাটা সিকি চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, জিরা বাটা আধা চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, গোল মরিচ আধা চা চামচ, লবণ ২ চা চামচ, শুকনা মরিচ ১ চা চামচ, ময়দা পরিমাণ মতো।

প্রণালী:
একটি পাত্রে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ ঢেলে বাদামী করে ভেজে নিন। পেঁয়াজ বাদামী হয়ে এলে তাতে আদা, রসুন, জিরা, গোলমরিচ, শুকনা মরিচ, পেঁয়াজ বাটা ও লবণ দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। এবার কষানো মসলায় আলু সেদ্ধ দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন।

এবার মিশ্রনটি ময়দার সঙ্গে ভালো করে মাখিয়ে পরোটার মতো বেলে গরম তাওয়ায় পরিমাণ মতো তেলে ছেঁকে নিন। ব্যাস, হয়ে গেলো গরম গরম আলুপরোটা। সবজি, ডিম অথবা শুধু সস দিয়েও খেতে পারেন সুস্বাদ এই আলুপরোটা।


পাস্তা পায়েস



পাস্তা পায়েস
পাস্তা পায়েস
উপকরণ: দুধ ১ লিটার, পানি ১ কাপ, পাস্তা ২ কাপ, ঘন নারকেলের দুধ ১ কাপ, গুড় আধা কাপ (কুচি করা), চিনি ১ টেবিল-চামচ, মাওয়া আধা কাপ।
প্রণালি: দুধ ও পানি জ্বাল দিয়ে নিতে হবে। দুধে বলক এলে তাতে নারকেলের দুধ দিয়ে পাস্তা সেদ্ধ করে নিতে হবে। এতে ১ টেবিল-চামচ চিনি দিয়ে জ্বাল করে গুড় মেশাতে হবে।
দুধে গুড় মেশাতে গিয়ে অনেক সময় দুধ ফেটে যায়। তাই গুড় মেশানোর আগে অল্প চিনি দিয়ে জ্বাল করে নিয়ে গুড় মেশাতে হবে বা চুলা থেকে নামিয়ে গুড় মেশাতে হবে।
নেড়ে নেড়ে ঘন হয়ে এলে মাওয়া দিয়ে নামাতে হবে। সাজিয়ে পরিবেশন।


চিকেন স্যাসলিক



চিকেন স্যাসলিক
চিকেন স্যাসলিক
উপকরণ: মুরগির মাংসের কিউব ১০ পিস,শসার টুকরা ১০ পিস,মাশরুম ১০ পিস,পনির ১০ টুকরা,ডালের ছোট পিয়াজু ১০ পিস,ক্যাপসিকাম ১০ পিস,গাজর ১০ পিস,পিয়াজ কিউব ১০ পিস,কাচামরিচ ১০টি, আদা বাটা ১ চা চামচ,রসুন বাটা ১/২ চামচ, জিরা বাটা ১/২ চামচ, মরিচ বাটা ১ চা চামচ, সয়াসস ১ চা চামচ, টেস্টিং সল্ট ১ চা চামচ,লবণ পরিমানমত, গোলমরিচ গুঁড়া ১/৪ চা চামচ,টমেটো সস আধা কাপ।


প্রণালী:

মুরগির মাংসগুলো অল্প লবণ, আদা ,রসুন ও মরিচ দিয়ে  সিদ্ধ করে নিতে হবে। ডাল বেটে পিয়াজু তৈরি করে নিতে হবে। এরপর সবগুলো সবজি অল্প লবণ, তেল ও গোলমরিচ দিয়ে হালকা সিদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর একটি স্যাসলিক কাঠি নিয়ে শসা, মুরগি, ক্যাপসিকাম, ডালের বড়া,গাজর, পিয়াজ, মাশরুম দিয়ে কাঠির মাথায় একটি করে কাচামরিচ দিয়ে কাঠি সাজাতে হবে। এরপর সবগুলো মশলা কাঠির গায়ে মেখে অল্প তেলে কাঠি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ভেজে নিতে হবে।

প্লেটে স্যাসলিক সাজিয়ে টমেটো সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।



ক্যারামেল পুডিং



পুডিং
পুডিং
 খেয়ে মজা এবং পুষ্টি দুটোই পেতে পারেন এই পুডিংয়ে।যেসব বাচ্চারা দুধ ও ডিম দেখে মুখ ঘুরিয়ে নেন, তাদের জন্য এটি ভালো খাবার হতে পারে।উপকরণ: দুধ আধা লিটার, ডিম চারটি, চিনি ১০০ গ্রাম, কর্ণ ফ্লাওয়ার এক টেবিল চামচ, লবন সামান্য, এলাচ দুইটি, দারুচিনি এক টুকরো।
প্রণালী: প্রথমে দুধ জ্বালিয়ে ঘন করে নিন। ডিম দিয়ে ভালো করে বিট করুন এবার চিনি ও কর্ণফ্লাওয়ারসহ সব উপকরণ দিয়ে খুব ভালো করে ফেটে নিন। মিশ্রণ থেকে এবার এলাচ এবং দারুচিনি তুলে ফেলুন।
একটি ঢাকনাসহ স্টিলের বক্সে প্রথমে একটু চিনি দিয়ে চুলায় দিন। যতক্ষণ চিনি বাদামী রঙ না হয় সে পর্যন্ত পাত্রটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সব জায়গায় ক্যারামেল লাগান। এবার ক্যারামেল শক্ত হয়ে গেলে পুডিং এর মিশ্রণ ঢেলে মুখ বন্ধ করে প্রেসার কুকারে পরিমানমতো পানি দিয়ে ১০ টি সিটি দিন। বক্সটি বের করে দেখুন পুডিংটি ঠিকমতো হয়েছে কিনা। নরম মনে হলে আরও দুটি সিটি দিন।  তৈরি হয়ে গেল মজাদার ক্যারামেল পুডিং। ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।

গরুর মাংসের কালো ভুনা




চিটাগাংয়ের একটি বিখ্যাত রান্না। চট্টগ্রামের বাইরে থেকেও অনেকে আসেন গরুর কালো ভুনা খেতে। এমন ভোজনরসিকও আছেন, কালো ভুনা না খেয়ে চট্টগ্রাম ছাড়েন না। রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য জন্য আজকের রেসিপিটি পাঠিয়েছেন ‘রেডের’ ম্যানিজিং ডিরেক্টর আফরোজা পারভীন।
উপকরণ:
গরুর মাংস- এক কেজি, আদা বাটা-১ টেবিল চামচ,রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ, কালো গোল মরিচ গুঁড়া- ১ চা চামচ, দারচিনি গুঁড়া- ১ চা চামচ, লবঙ্গ গুঁড়া- ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া- ১ চা চামচ, এলাচ গুঁড়া- ১ চা চামচ, জায়ফল ও জয়ত্রী মিলিয়ে গুঁড়া- ১ চা চামচ, ভাজা জিরা গুঁড়া- ১ চা চামচ, সরিষার তেল- পরিমাণ মত (চাইলে সয়াবিনও ব্যবহার করা যায়), লবণ- স্বাদ মত,পিঁয়াজ ফালি- আধা কাপ, কাঁচা মরিচ- ইচ্ছা মত
প্রণালী:
তেল ও পিঁয়াজ ছাড়া সমস্ত উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে ঢাকনা দিয়ে মাংসকে মাঝারি জ্বালে চুলায় বসিয়ে দিন। কিছুক্ষণের মাঝেই মাংস থেকে পানি বের হয়ে আসবে এবং আস্তে আস্তে পানি টানতে শুরু করবে ও মাংস সিদ্ধ হয়ে আসবে। চাইলে এই কাজটা প্রেশার কুকারেও করতে পারেন। মাংস শুকিয়ে এলে নামিয়ে নিন। একটা পাত্রে তেল গরম করে পিঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে দিন। কাঁচা মরিচ দেবার সময় মনে রাখবেন যে গোল মরিচ আর লবঙ্গ উভয়েই কিন্তু ঝাল। পেয়াজ একটু ভেজেই মাংস দিয়ে দিন। এবং জ্বাল কমিয়ে রান্না করুন ভাজা ভাজা করে। এমন ভাবে ভাজবেন যেন মাংসের মসলা শুকিয়ে তেলের উপরে ভেশে ওঠে, কিন্তু মাংস যেন শক্ত না হয়ে যায়। ব্যাস, তৈরি হয়ে গেলো ঘরেই মজাদার কালো ভুনা। খাবার জন্য পুরানো ঢাকা বা চট্টগ্রাম ছুটতে হবে না, ঘরেই বানিয়ে নিতে পারবেন যখন তখন।




চাইনিজ মিক্সড ভেজিটেবল




শাক সবজি খেলে শরীর সুস্থ থাকে এবং নানা প্রকারের ভিটামিন পাওয়া যায়। শিশুরাসহ অনেক বড়রা শাক সবজির কথা শুনলে না খেয়েই বেলা কাটিয়ে দিতে চায়। তাদের জন্য আমাদের আজকের রেসিপি ‘চাইনিজ মিক্সড ভেজিটেবল’। সাথে পোলাউ এবং চিকেন ভুনা রান্না হলে তো কথাই নেই।
উপকরণ:  চিচিংগা, গাজর,  ক্যাপসিকাম,  পেঁয়াজ (ফালি করে কাটা পেঁয়াজ এখানে সবজি হিসাবে ধরা হয়েছে) ,হাফ কাপ চিকেন বোনলেস জুলিয়ান কাট (লম্বা কাট), ১ টেবিল চামচ আদা, ১ টেবিল চামচ রসুন, ২ চা চামচ সয়াসস, কয়েকটা কাঁচা মরিচ, এক চিমটা গোল মরিচ, ১ চা চামচ চিনি, হাফ কাপ তেল, লবণ পরিমাণ মতো।

প্রণালী:
চিচিংগা ও গাজর সবজি গুলো আড়াআড়ি করে কেটে হালকা লবণ যোগে সিদ্ব করে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এই সিদ্বটা এজন্য যে, যেন রান্নায় সময় কম লাগে এবং সবজির রং যেন শেষেও ভাল থাকে।ক্যাপসিকাম সিদ্ধ না করাই ভালতে। কারণ এ ঘ্রাণ ভাল লাগব( আড়াআড়ি  কাটুন)। উপকরণের সব মশলা পাতি দিয়ে চিকেন গুলো মিশিয়ে ফেলুন (লবণ সহ)। কড়াইতে তেল গরম করে মশলা মাখা চিকেন গুলো তেলে ভাঁজতে থাকুন।  চিকেন পিস গুলো নরম হয়ে গেলে তাতে পেঁয়াজ কাটা গুলো দিয়ে আবারো ভাল করে কষান। (এই পর্যায়ে সামান্য হাফ কাপ পানি দিন, ঝোল বানান) । তেল উঠে গেলে কিছুক্ষণ পর সবজি গুলো দিয়ে দিন। ভাল করে মিক্স করুন। লক্ষ্য রাখবেন যাতে সবজি গুলো না ভেঙ্গে যায়।  হাফ কাপ পানিতে এক চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার গুলিয়ে সবজিতে দিয়ে দিন। ভাল করে মিশিয়ে মিনিট পনেরো জাল দিন। এই সময় ফাইনাল লবণ দেখুন, লাগলে দিন না লাগলে ওকে বলুন। পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।