ইসলামী
1.Md.Mamunur Rashid
পিতা - মাতার হক ১৪ টি, ৭ টি জীবিত অবস্থায় এবং ৭ টি মৃত্যুর পর...
জীবিত অবস্থায় ৭ টি হক:-
১. পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া
২. মনে-প্রাণে ভালোবাসা
৩. সর্বদা তাদেরকে মেনে চলা
৪. তাদের খেদমত করা
৫. তাদের প্রয়োজন পূর্ণ করা
৬. তাদেরকে সবসময় সুখে শান্তিতে রাখার চেষ্টা করা
৭. নিয়মিত তাদের সাথে সাক্ষাত ও দেখাশোনা করা
মৃত্যুর পর ৭ টি হক:-
১. তাদের মাগফেরাত এর জন্য দোয়া করা
২. সওয়াব পৌঁছানো
৩. তাদের সাথী সঙ্গী ও আত্মীয় স্বজনদের সম্মান করা
৪. সাথী-সঙ্গী ও আত্মীয় স্বজনদের সাহায্য করা
৫. ঋণ পরিশোধ ও আমানত আদায় করা
৬. শরীয়ত সম্মত ওসিয়ত পূর্ণ করা
৭. সাধ্যমত তাদের কবর জিয়ারত করা
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এসব মেনে চলার তৌফিক দান করুন...আমিন...
2. Md.Mamunur Rashid
আবু মূসা (রাঃ) থেকে
বর্ণিত, নবী (সঃ) বলেনঃ “যে জ্ঞান ও সঠিক নির্দেশ্ দিয়ে আল্লাহ আমাকে
পাঠিয়েছেন, তার দৃষ্টান্ত মাটির ওপর বর্ষিত প্রচুর বৃষ্টির মত। যে মাটি
পরিষ্কার ও উর্বর, তা ঐ পানি গ্রহণ করে অনেক ঘাস ও শস্য উৎপন্ন করে।আর যে
মাটি শক্ত, তা ঐ পানি ধরে রাখে। আল্লাহ তার সাহায্যে মানব জাতির কল্যাণ
করেন।মানুষ তা নিজেরা পান করে, পশুদেরকে পান করায় এবং সেচের মাধ্যমে ফসল
উৎপন্ন করে। আর কিছু অনুর্বর মাটি থাকে যা
বৃষ্টির পানি ধরে রাখে না এবং ঘাসও উৎপন্ন করে না। এটাই হচ্ছে তার
দৃষ্টান্ত যে আল্লাহর দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করে এবং তাতে লাভবান হয়।আল্লাহ
আমাকে যা দিয়ে পাঠিয়েছেন তা নিজে শিক্ষা করে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়। আর এটা
সেই লোকেরও দৃষ্টান্ত যে তার দিকে মাথা তুলেও তাকায় না এবং আমাকে আল্লাহর
যে পথ-নির্দেশ দিয়ে পাঠানো হয়েছে তাও গ্রহব করে না”।
(সহীহ আল বুখারী,কিতাবুল ইলম-৭৯)
3.Md.Mamunur Rashid
"তোমরা কি জান গীবত (পরনিন্দা) কি?"
হযরত আবু হুরায়রা (“رضي الله عنه”) থেকে বর্ণিত। রাসূল (''صلى الله عليه وسلم'') ইরশাদ করেছেন-
"তোমরা কি জান গীবত (পরনিন্দা) কি?"
সাহাবারা বললেন- "আল্লাহ তায়ালা এবং তার রাসূলই ভাল জানেন"।
হুজুর (''صلى الله عليه وسلم'') বললেন-
"তোমার (মুসলমান) ভাইয়ের এমন কোন আলোচনা করা যা সে অপছন্দ করে।"
কোন কোন সাহাবা বললেন- "আমার ভাই সম্পর্কে যা বলি তা যদি তার মধ্যে থাকে?" (আর সে তা অপছন্দ করে তবুও কি তা গীবত বা পরনিন্দা হবে?)
রাসূল (''صلى الله عليه وسلم'') বললেন-
"তুমি যা বললে তা তার মধ্যে (বাস্তবে) থাকলেই গীবত হবে। আর যা তুমি বললে
তা তার মাঝে না থাকলে তবে যেন তুমি তাকে অপবাদ দিলে। ( যা গীবতের চে'
মারাত্মক গোনাহ )"
(সহীহ মুসলিম শরীফ, হাদিস নং-৬৭৫৮)
4.Md.Mamunur Rashid
► রসূল (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসল্লাম) বলেছেনঃ
কোন পুরুষ যেন বেগানা কোন মহিলারসাথে নির্জনে অবস্থান না করে। এমন করলে তখন শয়তানই হবে তাদের তৃতীয় জন।
সুনান আত-তিরমিযী, হাদীস ১১৭১
“কোন মহিলা যেন মাহরাম পুরুষ ছাড়া একাকিনী সফর না করে”। “রমণী গুপ্ত
জিনিস, সুতরাং সে যখন (বাড়ি হতে) বের হয়, তখন শয়তান তাকে পুরুষের
দৃষ্টিতে রমনীয় করে দেখায়”। (সহীহ তিরমিযি ৯৩৬)
“তোমরা সেই মহিলাদের নিকট গমন করো না, যাদের স্বামী বিদেশে আছে। কারণ,
শয়তান তোমাদের রক্তশিরায় প্রবাহিত হয়”। (সহীহ তিরমিযি ৯৩৫, ইবন মাজাহ)
“আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে নিষেধ করেছেন যে,
আমরা যেন মহিলাদের নিকট তাদের স্বামীদের বিনা অনুমতিতে গমন না করি” (সহীহ
তিরমিযি ২২৩০)
“কোন মহিলা যেন মাহরাম পুরুষ ছাড়া একাকিনী সফর না
করে”। “রমণী গুপ্ত জিনিস, সুতরাং সে যখন (বাড়ি হতে) বের হয়, তখন শয়তান
তাকে পুরুষের দৃষ্টিতে রমনীয় করে দেখায়”। (সহীহ তিরমিযি ৯৩৬)
“তোমরা সেই মহিলাদের নিকট গমন করো না, যাদের স্বামী বিদেশে আছে। কারণ,
শয়তান তোমাদের রক্তশিরায় প্রবাহিত হয়”। (সহীহ তিরমিযি ৯৩৫, ইবন মাজাহ)
“আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে নিষেধ করেছেন যে,
আমরা যেন মহিলাদের নিকট তাদের স্বামীদের বিনা অনুমতিতে গমন না করি” (সহীহ
তিরমিযি ২২৩০)
5.Md.Mamunur Rashid
ইসমাঈল
(রহঃ) নাবী (সাঃ) এর সহধর্মিণী হযরত আয়শা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
আমি একটি বালিশ বা গদি কিনে এনেছিলাম, যার মধ্যে ছবি ছিল। যখন রাসূল (সাঃ)
সেই ছবিটি দেখেলেন, তিনি দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে গেলেন; ভিতরে প্রবেশ করলেন
না। আমি বুঝতে পারলাম যে, তাঁর চোখে এটা অত্যন্ত অপছন্দনীয় ব্যাপার। আমি
বললাম, ইয়া বাসূলাল্লাহ! আমি আল্লাহর কাছে তওবা করছি এবং তাঁর রাসূল (সাঃ)
-এর কাছে ফিরে আসছি। আমি কী অন্যায় করেছি? তখন বাসূলুল্লাহ বললেন এই বালিশ
কিসের জন্য? আমি বললাম, এটা আপনার জন্য খরিদ করে এনেছি, যাতে আপনি বসতে
পারেন এবং হেলান দিতে পারেন। তখন বাসূলুল্লাহ বললেন, এই ছবি নির্মাতাকে
কিয়ামতের দিন শাস্তি প্রদান করা হবে এবং বলা হবে, যা তুমি সৃষ্টি করেছ তার
প্রাণ দাও এবং তিনি আরও বলেন, যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে, সেই ঘরে রহমতের
ফেরেশ তা প্রবেশ করে না।
সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ বিয়ে-শাদী হাদিস নাম্বারঃ ৪৮০৩
6.Md.Mamunur Rashid
আবু
হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন মুমিনের
পার্থিব দুঃখ-কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ ক্বিয়ামতে তার দুঃখ-কষ্ট দূর করবেন। যে
ব্যক্তি কোন সংকটাপন্ন ব্যক্তির সংকট নিরসন করবে, আল্লাহ তার দুনিয়া ও
আখিরাতের যাবতীয় সংকট নিরসন করে দিবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের দোষ-ত্রুটি
গোপন রাখে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। আর
আল্লাহ ততক্ষণ পর্যন্ত বান্দার সাহায্য করে থাকেন, যতক্ষণ পর্যন্ত বান্দা
নিজ ভাইয়ের সাহায্যে রত থাকে।
মুসলিম, তিরমিযী হা/১৯৩০; আবুদাঊদ হা/৪৯৪৬