স্বাস্থ্য

হিমায়িত খাদ্যে বেশি মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে



ফাইল ফটো
ফাইল ফটো
ডেস্ক রিপোর্ট
ঢাকা, ২৮ অক্টোবর: তাজা খাবারের চেয়ে হিমায়িত খাদ্যে বেশিমাত্রার ভিটামিন ও ক্যানসার প্রতিরোধী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। তাই হিমায়িত ফল ও সবজি বেশি স্বাস্থ্যকর। নতুন এক গবেষণায় এমনটাই দাবি করেছেন একদল গবেষক।
গবেষকরা জানান, দুটি গবেষণায় দেখা গেছে হিমায়িত সবজি ব্রকলি, গাজর ও ব্লুবেরিতে (উত্তর আমেরিকার এক ধরনের ফল) বেশি পরিমাণ ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। তাজা অবস্থার চেয়ে হিমায়িত করার পর এসব খাদ্যে বেশি পরিমাণ পুষ্টি পাওয়া গেছে।
দুই থেকে তিন দিনের হিমায়িত ফল ও সবজিতে অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণ ভিটামিন সি, পলিফনিক্স, অ্যান্থোসায়ানিস ও বিটা-কেরোটিনসহ (উদ্ভিদে বিদ্যমান পিঙ্গল পদার্থ) ক্যানসার প্রতিরোধ অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উপস্থিতি পাওয়া যায় বলে গবেষকরা জানান।
আর হিমায়িত এ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যৌগ উপাদান ক্যানসার প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে এবং দেহ, মস্তিষ্ক, ত্বক ও চোখের জন্য ভীষণ উপকারী।
লেদারহেড ফুড রিসার্স ও ইউনিভার্সিটি অব চেস্টারের দুই দল গবেষক জানান, দুই থেকে তিন দিন ধরে হিমায়িত করে যেকোনো ফল ও সবজি খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী।

ভালো ঘুমের উপায়



ঘুম
ঘুম
ডেস্ক রিপোর্ট
ঢাকা, ১৮ অক্টোবর: রাতে ভালো ঘুম দিনভর তরতাজা রাখে।শরীর ও মনের জন্য ভালো ঘুম খুবই জরুরী। আসুন জেনে নেই কি করে অনায়াসেই আপনি রাতে গভীর ভাবে ঘুমাতে পারেন।
ক্লান্ত শরীরে নিয়ে দ্রুতই ঘুমিয়ে পরা যায়। তাই ঘুমানোর ঘন্টা খানেক আগে হালকা ব্যায়াম করুন। ব্যায়ামের পর শরীর রিলাক্স করুন। প্রয়োজনে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন।
বিছানাকে শুধুমাত্র ঘুমের জন্য ব্যবহার করুন। ঘুমানো ছাড়া বিছানার ধারে কাছে যাবে না। বিছানায় বসে কোন কাজ নয়।
ঘুমানোর আগে আপনার সঙ্গীর সঙ্গে খানিকটা রস গল্প করতে পারেন। তাতে করে আপনার মেজাজ ফুরফুরে থাকবে।
রাতে কখনোই গুরুপাক খাবার নয়। গুরুপাক খাবার খেলে শরীর গরম হয়। তাতে করে ক্যালোরি পুড়তে সময় নেয়। ফলে ঘুম আসতে দেরি হয়। তাই রাতের খাবার হোক সহজপাচ্য। রাতে হালকা খাবার খান। রাতের খাবারের তালিকায় রাখুন দুধ, কলা ও ফল।

অনেকেই রাতে হরর সিনেমা দেখতে ভালোবাসেন। এটা কখনোই করবেন না। এতে করে আপনার ঘুমের সমস্যা হবে। রাতে বরং হালকা মেলোডির গান শুনতে পারেন।
রাতের খাবারের সঙ্গে সঙ্গেই বিছানায় যাবেন না। রাতে খাওয়ার পর খানিকটা হাটাহাটি করুন। খাবার হজম হতে সময় দিন।
প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান। একই সময়ে ঘুম থেকে উঠুন। এতে করে শরীর মনে সুন্দর একটা ছন্দ তৈরি হবে।ঘুমও আসবে অনায়াসে।
রাতে বিছানায় যাওয়ার পর মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে রাখুন। বিছানা থেকে সরিয়ে রাখুন ফোনটি। কেননা, ফোনের রেডিয়েশন ব্রেন ওয়েভকে প্রভাবিত করে। ঘুমের বিঘ্ন ঘটায়।